বিকাশ পিন Unlock করার সহজ উপায়। How to Unlock bkash Pin

বিকাশ অ্যাকাউন্টের যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে পরপর তিনবার ভুল পিন দিলে বিকাশ অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যাবে যাকে বিকাশ পিন লকও বলা হয়। আর বিকাশ পিন লক হয়ে গেলে আপনি উক্ত বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোন কাজ করতে পারবেন না। মূলত বিকাশ অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজকে আমি দেখব কিভাবে একটি লককৃত পিন আনলক করবেন। How to Unlock bkash Pin

বিকাশ পিন Unlock করার সহজ উপায়

বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

বিকাশ পিন লক হওয়ার কারণ

বিকাশ পিনটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট কারণে লক করা থাকে, তা হল, যদি বিকাশ পিনটি পরপর তিনবার ভুলভাবে প্রবেশ করা হয়। যেকোন লেনদেনের সময় যদি অ্যাপে বা *247# নম্বরে ডায়াল করে বিকাশ পিনটি পরপর তিনবার ভুল ভাবে প্রবেশ করানো হয়, তাহলে বিকাশ অ্যাকাউন্টটি লক হয়ে যায়।

বিকাশ পিন লক হওয়ার কারণ

আপনি যদি আপনার বিকাশ পিন ভুলে যান বা পরপর তিনবার ভুল পিন প্রবেশ করেন তাহলে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যাবে। বিকাশ পিন ভুলে গেলে, আবার যদি ফোন চুরি হয়ে যায় বা দুর্বৃত্ত কেউ আপনার ফোন থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করতে পারে এবং ভুল পিন দিতে পারে তবে এটি ঘটতে পারে।

বিকাশ অ্যাকাউন্টে রাখা টাকার নিরাপত্তা দিতে তিনবার ভুলভাবে বিকাশ পিন প্রবেশ করালে অ্যাকাউন্টটি লক হয়ে যায়। বিকাশ পিন ভুলে গেলে বা দুবার ভুল হলে আবার ভুল পিন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। পিনটি পরপর দুবার ভুল হলে, অবিলম্বে বন্ধ করুন এবং বিকাশ পিন রিসেট করুন। আপনি চাইলে *247# ডায়াল করে পিন রিসেট করতে পারেন। 

আপনার অ্যাক্টিভ বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন রিসেট করতে *247# ডায়াল করুন এবং টাইপ করুন। তারপর বিকাশ অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের সময় ব্যবহৃত ফটো আইডি নম্বর, জন্ম তারিখ এবং সর্বশেষ লেনদেনের ধরন নির্বাচন করুন এবং পরিমাণ লিখুন। আপনি যদি কোনো সর্বশেষ লেনদেন না করে থাকেন তাহলে ৭ লিখে পাঠান। আপনার তথ্য সঠিক হলে, আপনি একটি বার্তার মাধ্যমে একটি অস্থায়ী পিন পাবেন।অস্থায়ী পিন পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিকাশ অ্যাপ থেকে *247# ডায়াল করুন অথবা পিন সেট করুন। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে একটি এলোমেলো 5 সংখ্যার পিন সেট করতে হবে যা গত 3 বার ব্যবহার করা হয়নি এবং “0” দিয়ে শুরু হয় না।



বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

এবার আসুন জেনে নেই কিভাবে বিকাশ পিন লক আনলক করবেন। একবার বিকাশ পিন লক হয়ে গেলে, আপনি নীচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই লক করা বিকাশ অ্যাকাউন্টটি আনলক করতে পারবেন।

  • বিকাশ হেল্প সেন্টারে গিয়ে
  • বিকাশ হেল্প সেন্টারে ফোন করে
  • লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে
  • ফেসবুক ফ্যান পেজের মাধ্যমে।
  • ইমেইলের মাধ্যমে

বিকাশ হেল্প সেন্টারে গিয়ে বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

আপনাকে সরাসরি আপনার নিকটস্থ বিকাশ হেল্প সেন্টারে চলে যেতে হবে। (যা নিবেন)

  • আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • বিকাশ যে সিমটি খুলেছে
  • যার আইডি দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তাকে যেতে হবে।

তারা আপনাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে ?

  • আপনি শেষ লেনদেন কত টাকা করেছেন?
  • আপনার শেষ লেনদেন কি ছিল ? মোবাইল রিচার্জ, টাকা পাঠান নাকি ক্যাশ আউট ?
বিকাশ হেল্প  সেন্টারে যেয়ে বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

কখনো মিথ্যা বলবেন না যদি মনে না থাকে, বলুন আমার মনে নেই। আপনার দেওয়া তথ্য সঠিক হলে, তারা আপনাকে আপনার লক করা পিন রিসেট করতে বলবে। এরপর আপনি যা করবেন ?

আপনার মোবাইল থেকে *247# ডায়াল করুন। এরপরে আপনাকে একটি নতুন পিন দিতে বলা হবে। তাই আপনি একটি নতুন পিন দিয়ে Send বাটনে ক্লিক করুন। আপনাকে পিন নিশ্চিত করতে বলা হবে। আবার আপনার নতুন পিন লিখুন। এখন আপনার লক করা পিন রিসেট করা হয়েছে। আপনার কাজ শেষ ।



বিকাশ হেল্প সেন্টারে ফোন করে বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

বিকাশ হেল্পলাইন 16247 নম্বরে কল করতে হবে। কল সেন্টার থেকে একজন প্রতিনিধি আপনার ফোন রিসিভ করবেন। এখানে উল্লেখ্য যে আপনার ফোন রিসিভ করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ফোন পাওয়ার পর আপনার সমস্যা একজন প্রতিনিধি জানান। তারা আপনাকে আপনার আইডি কার্ড নম্বর জিজ্ঞাসা করবে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি যে আইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলেছেন সেই আইডি কার্ডের নম্বর অবশ্যই দিতে হবে। একই সঙ্গে যে ব্যক্তি আইডি কার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তার গ্রাহক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে হবে।

তারা আপনাকে আপনার জন্মসাল জিজ্ঞাস করবে? অর্থাৎ তারা আপনাকে উপরের প্রশ্নগুলা করবে । আপনি সেগুলার উত্তর দিবেন । উল্লেখ্য, কল সেন্টারে ফোন করে কাজ করার ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে তথ্য দিতে হবে। আপনি ভুল তথ্য দিলে, তারা আপনার পিন সংশোধন নাও করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে গ্রাহক কেন্দ্রে যেতে হবে। 

লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

বিকাশ লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে যদি আপনার প্রকৃত পিন আপনি রিসেট অথবা পিন আনলক করতে চান তাহলে আমাদের এই লিংকে ক্লিক করুন, এখানে আপনি ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি আপনার বিকাশ লাইভ চ্যাট এর পেজে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে আপনি ক্লিক করে লাইভ চ্যাট করুন অপশনটিতে ক্লিক করুন।


পরে আপনার সামনে সরাসরি একটি বিকাশ কাস্টমার ম্যানেজারের নাম সহ চ্যাট বক্স চলে আসবে। এই চ্যাট বক্সে আপনি আপনার বিকাশ নাম্বার দিন এবং তাদেরকে বিস্তারিত বাংলায় অথবা ইংলিশে বলুন। দেখবেন তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার সমস্যাটি দিবে। এছাড়াও জেনে রাখুন যে, এই মাধ্যমে আপনি বিকাশ সম্পর্কিত যে কোন তথ্যের জন্য এখানে এসে আপনি আপনার সমস্যাটি তাদের লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে শেয়ার করে সমাধান করে নিতে পারেন। যদি ব্যক্তিগতভাবে বলি তাহলে আমি সবসময়ই বিকাশের যেকোনো সমস্যা এই লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে সমাধান করে থাকি।



ফেসবুক ফ্যান পেজের মাধ্যমে বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

বিকাশ ফেসবুক পেজ বা ফ্যান পেজের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসেই আপনার লককৃত পিন আনলক করতে পারবেন। কিভাবে করবেন চলুন জেনে নেই।

প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল থেকে ফেসবুকের অফিশিয়াল মোবাইল অ্যাপস ওপেন করবেন এবং সেখান থেকে সার্চ বক্সে গিয়ে বিকাশ লিমিটেড লিখে সার্চ দিবেন। দেখতে পাবেন সার্চ দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার ফেসবুকে  বিকাশের ভেরিফাইকিত ফ্যান পেজটি ওপেন হয়েছে।

সেখান থেকে মেসেঞ্জার আইকনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর গেট স্টার্টেড বলে একটা অপশন আসবে, সেখান থেকে ক্লিক করে আপনি আপনার সমস্যাটি কাস্টমার ম্যানেজারের সঙ্গে শেয়ার করুন, দেখবেন খুব দ্রুত তারা আপনার সমস্যাটি সমাধান করে দিয়েছে। 

ইমেইল সাপোর্ট নিয়ে বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

আপনি চাইলে বিকাশ ইমেইল সাপোর্ট নিয়ে আপনার বিকাশ পিন নাম্বারটি পুনরুদ্ধার করতে পারেন। প্রথমে আপনি আপনার ইমেলে প্রবেশ করুন এবং নতুন মেইলে গিয়ে টু তে অ্যাড্রেস হিসাবে

ইমেইল সাপোর্ট নিয়ে বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

support@bkash.com দিন। মেইলের সাবজেক্ট এ গিয়ে আপনার সমস্যাটি সুন্দরভাবে বাংলায় অথবা ইংলিশে লিখুন। খুব দ্রুত তারা আপনার সমস্যাটি দেখে সমাধানের মেইলটি আপনাকে দিয়ে দিবে।

এছাড়াও আপনি চাইলে এই মেইল সাপোর্ট এর মাধ্যমে বিকাশ সম্পর্কিত যেকোন সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।


স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট বিকাশ পিন লক খোলার উপায়

আপনার যদি স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে আপনার পিন রিসেট করার নিয়মে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। আপনি যদি একজন ছাত্র হন তবে আপনার NID (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) নেই (স্কুল ছাত্রের ক্ষেত্রে)। উপরে বলা হয়েছে NID লাগবে। তাহলে এখন আমার কি করা উচিত?

কোন চিন্তা নেই, বিকাশ আপনার জন্য ব্যবস্থা করেছে। এখানে আপনার স্কুল আইডি নম্বর প্রয়োজন হবে। এর মানে হল যখন আপনার স্কুল থেকে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, তখন একটি আইডি নম্বর দেওয়া হয় যাকে স্টুডেন্ট আইডি বলা হয়। তাহলে আপনি এটি কোথায় পাবেন ?

আপনি আপনার স্কুলে ছাত্র আইডি পাবেন। এর জন্য আপনি আপনার স্কুল শিক্ষকের সাথে কথা বলতে পারেন (যিনি এটির দায়িত্বে আছেন) বা আপনার ক্লাস টিচারের সাথে কথা বলতে পারেন এবং বাকি নিয়মগুলি উপরে দেওয়া নিয়মগুলির মতোই। এর মানে আপনার NID এর পরিবর্তে আপনার স্কুল আইডি লাগবে। বাকি নিয়ম একই।

-------------------------------------

আজকে এই পর্যন্ত । দেখা হবে পরবর্তীতে অন্য কোনো পোস্টে । সেই পর্যন্ত সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন । যদি আমাদের সাইটের পোস্টগুলো আপনার একটু হলেও উপকারে আসে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন

[ যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে ] 

Post a Comment

0 Comments