চিরচেনা মানুষটি আজ হাসপাতালের বেডে। জীবনের চেয়েও যে মানুষটারে এত ভালোবেসে ছিলাম, সে আজ চোখের সামনে নিথর হয়ে পড়ে আছে। যেন পুরো অন্ধকারে ঢেকে গেছে জীবনের মায়াজালটা। ডাক্তার বলেছে বড়জোর হলে রিতা (ভালোবাসার মানুষ) এক মাসের মতো বাচঁবে। ওই তো সেদিনও ভালো ছিল। মুখে ছিল একরাশ মায়াবী হাসি। নিমিষের মধ্যে যেন হারিয়ে গেলো সব।
ক্যান্সারে আক্রান্ত। বুজতেই পারি নি, যখন বুজতে পেরেছি তখন সব শেষ হয়ে গেছে। যে মানুষটি নিজের মতো করে আমাকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। সে মানুষটির দুঃখের দিনে আমি যে কিছুই করতে পারছি না। সব থেকেও যেনো কিছুই নেই আজ। তার পাশে হাত রেখে এতটুকুই বলি কিছু হবে না তোমার। নিজের অজান্তে চোখ দিয়ে তার গালে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে। সে আমাকে বলেছিল দূর পাগল কাঁদছো কেন, এই তো আমি ঠিক আছি। খুব কান্না করছিলাম।
রিতা : আরে বোকা কাঁদে কেন। আমি চলে গেলে কি হয়ছে নতুন কাউকে খুজে নিবা। জীবন তো আর কারো জন্য থেমে থাকে না।
আমি : জানো রিতা যে দিন তুমি আমার জীবনে এসেছো, সেদিন থেকে কখনো তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে কল্পনা করি নি। বিশ্বাস করতাম, একদিন তুমি আমার হবে।
রিতা : হ্যাঁ, এই যে হলাম। এখন তো আমি তোমারি ।
আমি : হ্যাঁ।
নার্স এসে ঔষুধ দিয়ে গেলো, এগুলো খাওয়ানো শেষে যখন ওকে ঘুমাতে বললাম সে বলছিল, কিভাবে ঘুমাবো, তোমাকে যে মন ভরে দেখতে চায়।
আমি : না ঘুমালে তোমার শরীর যে আরও খারাপ হবে,ডাক্তার দেখলে বকা দিবে। রিতা : না না,আমি ঘুমাবো না। তুমি বসে বসে গল্প কর, আমি শুনি।
কি গল্প বলব,, চোখের পানি তো থামাতে পারছি না। অনেক কষ্টে ঘুম পারাই তাকে। পানির জন্য উঠতে যাব, দেখি আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখছে। যেনো আমি দূরে না যায়। আর উঠিনি, বসে থাকি এখানে।
নার্স এসে টেবিলে নাস্তা দেখে বলে, আপনি এখনো নাস্তা করেন নি ভাই। কিছু বলিনি শুধু হাতের দিকে ইশারা করে বলি, খাব পরে। নার্স আমার চোখের পানি দেখে নিজেকে সামলাতে না পেরে কান্না করতে থাকে আর বলে সত্যি আপনাদের ভালোবাসার তুলনা হয় না। নার্স টেবিল থেকে খাবারগুলো সামনে এনে বলে, নেন খেয়ে নিন। তা না হলে আপনার শরীর খারাপ হবে। পরে উনারে কে দেখবে। আমি : আচ্ছা, আপনাকে খুব কষ্ট করতে হচ্ছে,তাই না। নার্স : একজন ভাইয়ের জন্য এতটুকু কষ্ট কি করতে পারি না নাকি। আর এটাই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর হে আপনার চোখের পানিতে তো শার্টটা ভিজে গেছে। পাল্টিয়ে নিয়েন। আমি : সে ঘুম থেকে উঠুক, পাল্টিয়ে নিব। দিন গিয়ে রাত হল, রিতা চোখ খুলল। আমাকে দেখে বলল ঘুমাও নি। আমি : এই তো ঘুমিয়েছি। তোমার ঔষুধ খাওয়ার সময় হল ঔষুধগুলো খেয়ে নাও আগে। রিতা : মিথ্যা বলো কেন। তুমি যেভাবে বসে আছ ঠিক সেভাবে এখনো বসে আছো। আমি : ঘুমাবো,আগে ঔষুধটা খেয়ে নাও। ঔষুধ না খাওয়ার নানা বাহানা। অনেক কষ্টে ঔষুধটা খাওয়ানো পর ডাক্তার এসে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে গেছে। কি অপরূপ মায়ার মানুষটি আজ খুব মলিন হয়ে শুয়ে আছে। চিরচেনা মানুষটি আজ যেন খুব অচেনা হয়ে পড়েছে। নার্স এসে পুরো রুমটা পরিষ্কার করে, আমাকে বিশ্রাম নিতে বলে। আমি উনাকে বলেছিলাম, যার ভালোবাসার মানুষ ক্লান্ত হয়ে নিথর ভাবে শুয়ে আছে আমি কি করে ঘুমাবো বলেন। জীবনের শেষ দিনগুলো না হয় নাই ঘুমালাম। দিন যত যাচ্ছে রিতার অবস্থা তত খারাপ হয়ে পড়ছে। ডাক্তার খাবার সময় বাদে সবসময় ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে যাতে তার কষ্ট না হয়। এভাবে ১৭ দিন পার হল। আমাকে সে বলতেছে আজ যেন ঘুমের ইনজেকশন না দেওয়া হয়। ডাক্তার আর ইনজেকশন দেয় নি। আমার দিকে চেয়ে চেয়ে বলতেছে, শক্ত করে হাতটা যেন ধরে রাখি। খুব যত্ন করে হাতটা চেপে ধরি। আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে মুচকি মুচকি হাসে। বুজতে পারি নি যে এই হাসিটাই জীবনের শেষ মায়াবী হাসি। শক্ত করে ধরে রাখা হাতটা কেমন জানি শীতল হয়ে গেছে, চেয়ে আছে একদৃষ্টে। বুজতে পারি চলে গেছে না ফেরার দেশে। তার চোখগুলো যেন কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারছে না। নিজেকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারি নি, চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝড়তে ছিল। আর হয়তো শক্ত করে ধরা হবে না তার হাতটা, বসে থাকা হবে না তার ক্লান্ত দেহের পাশে। জীবনটা কেমন জানি অন্ধকারে ছেয়ে গেছে বুজতে পারি নি। তবে এতটুকু বলতে পারি। জীবনের ক্ষণেক্ষণে তুমি ছিলে, তুমি আছো, তুমি থাকবে। দেখা হবে প্রিয় পরকালে।
আপনার প্রশ্ন দ্রুত খুঁজে পাবেন - নিচে সাধারণ ও কার্যকর সমাধানগুলো দেওয়া আছে।
সাইট-হোম পেইজে যান এবং মেনু বা ক্যাটাগরি লিস্ট থেকে (যেমন : Android Tricks, Mobile Banking, National University ইত্যাদি) পরীক্ষা করুন। অথবা পেজ-এ থাকা Search বা Older Posts ব্যবহার করুন। তবুও না পেলে Contact ফর্মে আপনি যা খুঁজছিলেন সেটি লিখে জানিয়ে দিন - আমরা সাহায্য করবো।
পোস্টের তারিখ চেক করুন - যদি পুরনো হয়, কমেন্ট/মেসেজ করে আপডেটের অনুরোধ দিন। আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলা নিয়মিত আপডেট করার চেষ্টা করি; নতুন তথ্য থাকলে শেয়ার করুন যাতে আমরা রিভিউ করে আপডেট করতে পারি।
ব্রাউজারের Cache/Cookies ক্লিয়ার করুন এবং আবার চেষ্টা করুন। VPN বা Ad-Blocker চালু থাকলে তা বন্ধ করে দেখুন। সমস্যাটি রয়ে গেলে Contact ফর্মে লিংক ও আপনার ব্রাউজার/ডিভাইস-বিস্তারিত পাঠান - আমরা লিংক যাচাই করে আপডেট দেব।
পোস্টে মন্তব্য করে আপনার প্রশ্ন লিখুন - আমরা বা অন্য পাঠকরা উত্তর দেব। চাইলে Contact ফর্মে বিস্তারিত পাঠিয়ে ব্যক্তিগত নির্দেশনাও চাইতে পারেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট স্টেপ-বাই-স্টেপ আর্টিকেলগুলো দেখে নিতে পারেন।
Contact ফর্মে আপনার আইডিয়া/টপিক পাঠান। যদি সেটা অনেকের দরকার হয়, আমরা পরবর্তী আর্টিকেলে রাখার চেষ্টা করব।
প্রতিটি পোস্টের নিচে Facebook, WhatsApp, Telegram বা Social Share বাটন ব্যবহার করুন। না থাকলে URL কপি করে পাঠিয়ে দিন। শেয়ার করার আগে দয়া করে নিশ্চিত করুন যে কেউ ব্যক্তিগত বা সেনসিটিভ তথ্য পান না।
আর্টিকেলের নিচে থাকা comment/feedback ব্যবহার করুন অথবা Contact থেকে লিংক ও বিস্তারিত পাঠান। আপনার রিপোর্ট পেলে আমরা দ্রুত চেক করে আপডেট বা করেকশন করব - আপনার ফিডব্যাক সবার উপকারে আসে।
0 Comments
post a comment