বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রতিদিনই আমাদের মোবাইলে আসে নানা ধরনের স্প্যাম কল ও ভুয়া SMS। এদের মূল লক্ষ্য হলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, OTP, পাসওয়ার্ড বা অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। সামান্য অসচেতনতার কারণে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে পারেন যে কেউ। এই আর্টিকেলে থাকছে, কোন কোন ধরনের স্ক্যাম বেশি হয়ে থাকে, কীভাবে সেগুলো চিনবেন, প্রতিরোধের উপায় এবং কিছু বাস্তব উদাহরণ। তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
SMS স্ক্যাম ও স্প্যাম কলের সাধারণ ধরন :
স্ক্যামের ধরণ | যেভাবে কাজ করে | ঝুঁকি |
---|---|---|
বিজয়ী লটারি ম্যাসেজ | বড় অঙ্কের পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য চায় | তথ্য চুরি, অর্থ প্রতারণা |
ফেক ব্যাংক কল | একাউন্ট ব্লক হওয়ার কথা বলে OTP বা PIN চায় | একাউন্ট থেকে অর্থ চুরি |
পার্সোনাল লোন অফার | সহজ শর্তে লোন দেওয়ার লোভ দেখায় | তথ্য চুরি, ফিশিং |
ভুয়া কাস্টমার কেয়ার কল | হেল্পলাইনের নামে ফোন করে পাসওয়ার্ড বা OTP চায় | তথ্য হাতিয়ে নেওয়া |
স্ক্যামগুলোকে চেনার উপায় :
প্রতিরোধের কার্যকর উপায় :
করণীয় | কেন জরুরি |
---|---|
কখনোই OTP বা পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না, আসল অফিসিয়াল নাম্বার থেকেও ফোন এলে না বলুন। | আপনার একাউন্ট সুরক্ষিত রাখে এবং স্ক্যামারদের ফাঁদে পড়া থেকে বাঁচায়। |
স্প্যাম কল ও মেসেজ রিপোর্ট করুন, অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে Spam protection চালু রাখুন। | ভবিষ্যতে একই স্ক্যামারদের কল/ম্যাসেজ থেকে সুরক্ষায় সাহায্য করে। |
অফিসিয়াল নাম্বার যাচাই করুন, অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপে চেক করুন। | ভুয়া নাম্বার থেকে আসা কল/ম্যাসেজ চিনতে পারবেন। |
অজানা লিংকে ক্লিক করবেন না, বিশেষ করে SMS বা WhatsApp এ আসা লিংকে। | ফিশিং ও ম্যালওয়্যার অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। |
ফোনে Truecaller বা অন্য Spam call ডিটেকশন অ্যাপ ব্যবহার করুন। | স্ক্যাম নাম্বার আগেই শনাক্ত হয়ে যায়, সতর্ক হতে সহজ হয়। |
বাস্তব কিছু উদাহরণ :
উদাহরণ - ০১ : “আপনি ৫ লাখ/১০ লাখ টাকা লটারি জিতেছেন”, স্ক্যামাররা ফোন করে লটারি পাওয়ার নামে ‘প্রসেসিং ফি’ দাবি করে। টাকার লোভে অনেকেই ফি প্রদান করে ফেলেন, যার ফলে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা বেশি লক্ষ্য করা যায়।উদাহরণ - ০২ : “আপনার ব্যাংক একাউন্ট ব্লক হয়েছে, এখনই OTP দিন”, ভয় দেখিয়ে স্ক্যামাররা এই ধরণের কল করেন এবং ভুক্তভোগীরা তাদের OTP শেয়ার করে দেন। এর ফলে তাদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে অর্থ চুরি হয়ে যায়।
প্রতিদিন নতুন নতুন কৌশলে ফাঁদ তৈরি করছে স্ক্যামাররা। কিন্তু সচেতনতাই হতে পারে সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা। মনে রাখবেন OTP, পাসওয়ার্ড বা ব্যক্তিগত তথ্য কখনোই কারো সাথে শেয়ার করবেন না, যতই তারা নিজেকে ব্যাংক বা অন্য কোনো অফিসার হিসেবে পরিচয় দিক। সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন! আর এরকম নিত্যনতুন টিপস ও ট্রিকস জানতে Toki Unlimited-এর সাথে থাকুন।
0 Comments
post a comment